সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪০ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
স্বপ্নের পদ্মা সেতু পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার ছুটির দিন অনির্ধারিতভাবেই সেতু পরিদর্শনে যান তিনি। ব্যক্তিগত এই ভ্রমণে তার সাথে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকা একজন কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ২৩ মিনিটে শ্রীনগর উপজেলার দোগাছী সড়ক পথে পদ্মা সেতুর ১-এ নাম্বার সার্ভিস এরিয়ায় আসেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তার গাড়ির বহর সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে মাওয়া প্রান্তের পদ্মা সেতুর উপরে ওঠেন।
পরিদর্শনকালে পদ্মা সেতুর ৭ নম্বর পিলার থেকে ১৮ নম্বর পিলার পর্যন্ত হেঁটে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে পদ্মা সেতুর ২-এ নাম্বার সার্ভিস এরিয়ায় যান। সেখান থেকে সকাল ১০টার দিকে আবারও গাড়ির বহরে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্ত ত্যাগ করেন। পদ্মা সেতুর কাজ দেখে প্রধানমন্ত্রী ব্যাপক আনন্দিত ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মুল সেতু) দেওয়ান আবদুল কাদের। এসময় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব এবং কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা,মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল ও পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মুল সেতু)দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বব্যাংকের নানা ষড়যন্ত্রের পর নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সেতু এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়েছে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর। সর্বশেষ সংশোধিত প্রকল্প প্রস্তাব অনুসারে, আগামী বছরের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা। মূল সেতু নির্মাণে কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো কর্পোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে পদ্মা সেতুর কাঠামো। প্রায় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি আগামী বছর ২০২২ সালের জুন মাসে যানবাহন চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেয়ার কথা রয়েছে।